তিনটি বোর্ডের এইচএসসি পরিক্ষা শুরু হবে ২৭ আগস্ট থেকে। আর বাকি বোর্ড গুলোর পরিক্ষা নির্ধারিত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। বন্যা প্লাবিত অঞ্চল গুলোর জন্যই সরকার এই স্বিদ্ধান্তে মনোনিত হয়েছে। তবে পরীক্ষার তারিখ পেছানোর জন্য ছাত্রদের আন্দোলন কোনভাবে দায়ী নয়। সরকার শুধু বন্যা কবলিত অঞ্চলের জন্য পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেছে। বন্যার কারণে যে সকল বোর্ডের পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে এগুলো হলো,চট্রগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের।
কিছু শিক্ষার্থী বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করল, এই আন্দোলন কোনোভাবে এই পরীক্ষাগুলো পেছানোর জন্য মূল কারণ নয়। শুধুমাত্র বিশেষ বিবেচনায় বন্যার কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বন্যাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে। এ সকল বোর্ডের পরীক্ষার নির্দিষ্ট একটি তারিখ প্রকাশ করে নেয়া হবে। বর্তমানে আনুমানিক ২৭ আগস্ট থেকে পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ দেওয়া হয়েছে। তবে এটিরও পরিবর্তন আসতে পারে। সরকার দশ দিন পেছনে বন্যার কারণে এ পরিক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটিরও পরিবর্তন আসতে পারে বন্যা পরিস্থিতির উপর এটা নির্ভর করবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে বন্যাতে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় প্লাবিত অঞ্চল গুলো কবে স্বাভাবিক হবে এর কোন নির্দিষ্ট সময় প্রকাশ করতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক অঞ্চল। ইতিহাসের অনেক বড় একটি বন্যা দেখা দিয়েছে আমাদের দেশে। বন্যার পানি নির্দিষ্ট সীমানার উপর দিয়ে বইছে। বন্যা পরিস্থিতির স্বাভাবিক হতে এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে ২৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ দিলেও এটির পরিবর্তন আসতে পারে।
এইচএসসি পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলল। তবে এ আন্দোলনে কোন উপকারী আসেনি। বরং শিক্ষার্থীরাই তাদের নিজের ক্ষতি করেছে। উগ্র প্রতিভার কিছু ছাত্র এবং কিছু বেগম রোকেয়াকে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে এই আন্দোলনে। তবে আন্দোলন অনেক হাস্যরস হয়েছে অনেকের কাছে। তবে এ আন্দোলন কোনভাবেই পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়। নির্দিষ্ট তিনটি বোর্ড ছাড়া সকল বোর্ডেই স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে আরো দুই একটি বোর্ডের পরীক্ষার তারিখের পরিবর্তন আসতে পারে। বন্যা পরিস্থিতিকে পর্যালোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। তবে এখনো এটি নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। উত্তর অঞ্চলেরও কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে বন্যার পানিতে। তিস্তা নদীর আশেপাশের অঞ্চল বন্যা তে প্লাবিত এবং কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছ।
অপরদিকে চট্টগ্রাম বোর্ডের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্লাবিত হয়েছে বন্যার পানিতে। প্রতিটি কেন্দ্রতে প্রায় বন্যার পানির আভাস মিলছে। অনেক স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি বইছে। মাদ্রাসা বোর্ড সারাদেশের একটি। এজন্য পর্যালোচনার মাধ্যমে মাদ্রাসা বোর্ডগুলোরও পরীক্ষার দেরিতে নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক একইভাবে কারিগরিক বোর্ডের ক্ষেত্রেও একই অবস্থান ভূমিকা পেয়েছে।
আন্দোলনের মাধ্যমে কেবল একটি উপকার এসেছে যে ছাত্রদেরকে প্রযুক্তি পরীক্ষাতে ৫০ নম্বরের উত্তর করলেই যথেষ্ট। সরকার এই হিসেবে পরীক্ষার ধারাবাহিকতাকে সাজিয়েছে। তবে আন্দোলনের মাধ্যমে আর কোন উপকার পাওয়া যায়নি। ছাত্রদের এই প্রথম বাংলাদেশে কোন আন্দোলনকে ব্যর্থ হতে দেখা গিয়েছে।
বন্যা প্লাবিত অঞ্চলগুলোর কথা ভেবে দেশের অনেক বড় বড় গন্যমান্য ব্যক্তিরা সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পরীক্ষা যথা সময় নেবার জন্য। তবে কেবল তিনটি বোর্ডের পরীক্ষায় ২৭ তারিখ থেকে নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ২৭ জুলাই পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভব না হলে অবশ্যই আবার নতুন করে তারিখ ঘোষণা করবে সরকার। সরকার যথাসময়ে পরীক্ষা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ অভিমত প্রকাশ করেছে শিক্ষকরা।
যে সকল বোর্ড গুলোতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলো তো পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসবে বন্যা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে। পরীক্ষার কেন্দ্র স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসলে তাদের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। তবে এটি একান্তই নির্ভর করছে বন্যা পরিস্থিতির ওপর।